এবার ভারতে গোমূত্র বিক্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

এবার ভারতে গোমূত্র বিক্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভারতে বর্তমান সরকার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গোমূত্র পান, গোবর দিয়ে কেক বানানো এবং বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সোমবার ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে এটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সুতারং গোমূত্র পান ও গোবরের কেক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং এই ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারাঅভিযানের কথা বলা হয়েছে।

জানা যায়, গরুর দুধে সোনা আছে বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নানা সময়েই পদ্মশিবিরের নেতাদের মুখে গোমূত্রের উপকারিতার কথাও শোনা যায়। কিন্তু এইবার বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক গোমূত্র বিক্রি নিয়ে তাদের অবস্থান পরিস্কার করল।

এদিকে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্র্যান্ডর্ডাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) নাকি গোমূত্র বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করার লাইসেন্স দিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছিল। যদিও সরকারি তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে ওই পোস্টটি আসলে ভুয়ো। গোমূত্র সংক্রান্ত কোনও লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক অনুসারে, এফএসএসএআই এই গোমূত্রের জন্য কোনও লাইসেন্স জারি করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্র্যান্ডর্ডাস অর্গানাইজেশন (ফাসাই)-র লোগো দেওয়া ওই গোমুত্রের বোতল কিনছেও অনেকে। বিক্রি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে। গো মূত্রের উপকারিতা আছে কি নেই, সে নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে এই ধরনের বোতল বিক্রিতে সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে পোস্ট করে বলেছে, “সাবধান! কিছু হোয়াটসঅ্যাপ এবং ডিজিটাল মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে এটি প্রচারিত হয়েছে। এটি নকল! লাইসেন্স নম্বরটি এফএসএসএআই দ্বারা দেওয়া হয়নি।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গো মাতার প্রচার করে গো রাজনীতি করার চেষ্টা চালায় বিজেপি। উত্তর ভারতের একাংশে বিষয়টিতে সফলও হয় পদ্ম শিবির। তবে গোমুত্র নিয়ে ভিন্ন অবস্থান নিল সরকারই দফতর।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন গোমূত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছিল, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের উচিত এই জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতিতে এই সংস্কৃতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য গণসচেতনতা তৈরি করা।