সুনামগঞ্জে বন্যা, তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা

সুনামগঞ্জে বন্যা, তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা

সংগৃহীত

গত কয়দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার খাসিয়ামারা, চিলাই, চেলানদী, মরাচেলা নদী ও সুরমাসহ সবক’টি নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তিনটি ইউনিয়ন।

পানি বৃদ্ধির ফলে দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার সড়কের শরীফপুর গ্রামের সড়ক তলিয়ে গেছে। সড়কে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনের ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আরেক অংশে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে লক্ষ্মীপুর, বোগলাবাজার ও সুরমা ইউনিয়নের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন।

সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা গ্রামের কাঁঠাল ও সবজি ব্যবসায়ী রাশিদ আলী বলেন, উপজেলায় আমাদের টেংরাটিলার কাঁঠালের চাহিদা অনেক। কিন্তু গত ৫ দিন ধরে কাঁঠাল নিয়ে দোয়ারাবাজার বাজারে যেতে পারছি না।

উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শরীপপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. শাজাহান মিয়া বলেন, গত তিন চারদিন ধরে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিবছর সামান্য পানি বাড়লেই দোয়ারাবাজার সদর থেকে সুরমা-বোগলাবাজার ও লক্ষ্মীপুরের সড়ক তলিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতি বছর বলে আসছি এই অংশটুকু উঁচু করার জন্য, কিন্তু কিছু হচ্ছে না।

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, এই সড়কের দুই জায়গায় গাড়ি বদল করে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ব্রিজের অ্যাপ্রোচ অতিরিক্ত পানির তোড়ে ভেঙে এই অংশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই অংশ মেরামত করে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহার নিগার তনু বলেন, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনের ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গেছে। সেই জায়গা মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।