ইচ্ছা থাকলেই শহর-দেশ দূষণমুক্ত করা যাবে : মেয়র আতিক

ইচ্ছা থাকলেই শহর-দেশ দূষণমুক্ত করা যাবে : মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রক্ত দিতে, মরতে বা আহতও হতে হবে না, শুধু মনের ইচ্ছা থাকলেই অবশ্যই এই শহর এবং দেশকে দখল-দূষণমুক্ত করা যাবে।

বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই দেশটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছেন, জীবন দিয়ে স্বাধীন করেছেন। এখন এই দেশকে দখলমুক্ত এবং দূষণমুক্ত করতে হলে শুধু আমাদের মনের ইচ্ছা লাগবে। আমার না, আমাদের। আমরা সবাই নিজেদের চিন্তা করি। আমার কি খালের পাড়ে বিল্ডিং করে খাল ধ্বংস করা দরকার? আমার কি মাঠ দখল করে বাড়ি বানানো দরকার? আমরা কি এটা খাইতে পারবো নাকি কবরে নিয়ে যেতে পারবো? পারবো না। তাহলে আমরা খামোখা মানুষের বদ দোয়া করাবো কেন?

তিনি বলেন, আজ যে গাছ লাগানো হচ্ছে, সেটি সদকায়ে জারিয়া হবে। এই গাছ ছায়া দেবে, মানুষ নিচে বসে থাকবে। এটাকে সদকায়ে জারিয়া বলা হয়। আর আমরা না আমাদের বিল্ডিং লাগবে, এটা লাগবে, ওটা লাগবে করে আমরা গাছগুলো কেটে ফেলছি।

মেয়র বলেন, খালগুলাকে আমরা দখল করে ফেলছি। দুই ধরনের দখল আছে, তা হলো পরিবেশগতভাবে এবং দূষণের মাধ্যমে। তরল থেকে কঠিন সব ধরনের বর্জ্য আমরা খালে ফেলছি। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে, তাদের মেসেজগুলো দিতে হবে যে এই শহর আমাদের; এই দেশ আমাদের। আমাদের কাজ এই দেশকে রক্ষা করা। এই দেশ থেকে আমরা উপার্জন করছি। এই দেশ থেকে সবাই আমরা শুধু নিচ্ছি কিন্তু কিছু দিচ্ছি না।

বাসা বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের লাইনের নোংরা ড্রেনের মধ্যে ফেলার বিষয়ে মেয়র বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাস পরে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক করতে চাই। যে কথা না শুনবে তাদের লিস্ট করে আবার কলা গাছ থেরাপি দেওয়া হবে। আমরা তাদের তিন মাসের জন্য সময় দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এই বছরের ২ লাখ গাছ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লাগাচ্ছি। গতবার ৯৪ হাজার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু যে কথা আমি বলব সেটা হচ্ছে অনেক সোজা কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেক কঠিন। তাই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা ৪৭ জনকে নিয়োগ করতে যাচ্ছি।