উত্তর কোরিয়ায় কে-পপ গান শোনায় যুবকের ফাঁসি কার্যকরের অভিযোগ

উত্তর কোরিয়ায় কে-পপ গান শোনায় যুবকের ফাঁসি কার্যকরের অভিযোগ

প্রতিকী ছবি

আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র এবং কে-পপ দেখার জন্য প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর কোরিয়ায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ওই প্রতিবেদনে ৬৪৯ জন উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করা ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।বাইরের সংস্কৃতির প্রবাহকে আটকানোর জন্য পিয়ংইয়ংয়ের মরিয়া প্রচেষ্টার কথাও বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের সাক্ষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশের ওই যুবককে ৭০টি দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা, তিনটি সিনেমা দেখা ও তা অন্যদের দেওয়ার কারণে ২০২২ সালে ওই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এর আগে, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার গান, সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়। বিশেষ করে তরুণরা যেন বাইরের কোনো সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সেই লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের ব্যাপক প্রচেষ্টার বিবরণ প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় মোবাইল ফোনগুলোকে প্রায়ই পরীক্ষা করা হয়। পরিচিতির নামের বানান এবং কথোপকথনও পরীক্ষা করে দেখা হয় তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রভাব আছে কিনা। যদিও উভয় কোরিয়া একই ভাষায় কথা বলে। তবে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত হওয়া যুদ্ধের পর বর্তমানে এই দুই ভাষায় কিছু পার্থক্য রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের পশ্চিমা সংস্কৃতির মন্দ প্রভাব থেকে রক্ষা করার কথা বলে কে-পপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া সরকার। এটি কিম জং-ইলের শাসনামলে শুরু হয়েছিল এবং তার পুত্র কিম জং-উনের অধীনে এটি আরো তীব্রতর হয়।