অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে নতুন ঘোষণা ফারুকীর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে নতুন ঘোষণা ফারুকীর

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে প্রথম থেকেই শক্ত অবস্থানে ছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন বিভিন্নভাবে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ছিলেন বেশ সবর। বিভিন্ন সময়ে পোস্ট করে আন্দোলনরত তরুণদের উজ্জীবিত করেছেন তিনি।

সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এই সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে নিজের নতুন সিনেমার খবর জানিয়েছেন।

এ পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, আজকে নতুন সরকার দায়িত্ব নিবে। এক সময় ভাবছিলাম এই ফ্যাসিজমের থেকে বোধ হয় আমাদের জীবদ্দশায় আর মুক্তি নাই। বাংলার সর্বস্তরের তরুণেরা আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির খোঁজ দিয়েছে। এদের সবাইকে স্যালুট এবং প্রফেসর ইউনুসকে অভিনন্দন জানানোর মধ্য দিয়ে আমার অনলাইন অ্যাকটিভিজমের আপাতত বিরতি। এখন সময় আমার নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার।

এ নির্মাতা আরও লেখেন, এর আগের অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আমি বানাই ৪২০। প্রকৃতির কি বিচিত্র খেয়াল আবার আসছে সেরকম একটা দুষ্ট কিছু, তাও আরেক অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে, যেটার শ্যুট করছি ফ্যাসিবাদের কালে। খোদার কসম এটা মুক্তি পাওয়ার পরে তোমরা ভাইবো না আমি আগেই জানতাম এই সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার আসবে। নাইলে এইটা কোন সাহসে বানাইলাম?

পোস্টের শেষাংশে ফারুকীর ভাষ্য, সো, গাইজ গেট রেডি ফর আ ওয়াইল্ড রাইড সুন। ডিটেলস কামিং শর্টলি। আপাতত এইটুকু বলা যাক, এটা আমার প্রিয় জরা - পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। আর কে না জানে, স্যাটায়ার হচ্ছে সেই চাবুক যেটা ক্ষমতাবানদের আতঙ্কিত করে। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।

এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানও তাদের দায়িত্বের দিনগুলোতে এই অতিথি ভবনে ছিলেন।