আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জামায়াতের বিবৃতি

আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জামায়াতের বিবৃতি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১৪ আগস্ট।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অবদানের কথা স্মরণ করে এক বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিবৃতিতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেন তিনি।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন।

তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এমনকি ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনই এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতে দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে।

অবশেষে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ তার পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা সাঈদীর জন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গেছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কোরআনের তাফসির করেছেন।

জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন।