কোটা আন্দোলনে নিহত নাঈমের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো জামায়াত

কোটা আন্দোলনে নিহত নাঈমের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো জামায়াত

সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ঢাকায় নিহত গার্মেন্টসকর্মী রেজওয়ানুল ইসলাম নাঈমের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডীতে নিহত নাঈমের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও নীলফামারী জেলা জামায়তে ইসলামের নেতৃবৃন্দ।

কবর জিয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতের আমিরের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কোটা আন্দোলনে নিহত প্রত্যেক শহীদ পরিবারের কাছে যাচ্ছি, খোঁজখবর নিচ্ছি এবং সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করছি। এই শহীদ পরিবারগুলোর পাশে জামায়াতে ইসলামী সব সময় থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ আমরা এই আন্দোলনে নিহত আমাদের সাহসী সন্তানদের জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন। 

আলোচনা সভা শেষে নিহত রেজওয়ানুল ইসলাম নাঈমের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুর রশিদ, নায়েবে আমির আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম,নীলফামারী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েলসহ জামায়েতের উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

নিহত রেজওনালুল ইসলাম নাঈম গেল ৪ আগস্ট বিকেলে ঢাকার বাইপেলে শিমুলতলী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ আগস্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কালেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে কিশোরগঞ্জের রনচন্ডীর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

এছাড়াও জামায়তে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সৈয়দপুর উপজোলার বাঙ্গালীপুর এলাকার সাজ্জাদ হোসেনে, নীলফামারী সদর উপজেলার রুবেল ইসলামের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা করেন। পরে জলঢাকা উপজেলার দক্ষিন কাজির হাটে কোটা আন্দোলনে আহত ইয়াসিন আলীকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতারা।