যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরামর্শ

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরামর্শ

সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা জার্মানিতে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এসব দেশে দীর্ঘ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক সুস্থতা থাকতে হবে। খালেদা জিয়া ভ্রমণ করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন চিকিৎসকের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয়েছে। আজ সকালেও মেডিকেল বোর্ড তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার গ্লোবাল ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে স্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হলে আমরা তাকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র অথবা অথবা জার্মানিতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু এসব দেশে দীর্ঘ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক সুস্থতা তার নেই।

এদিকে, দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটিয়ে অবশেষে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরতে পারেন।

সবশেষ গত ৮ জুলাই ভোর সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। পরে তাকে ওইদিনই সেখানে ভর্তি করা হয়।

আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে পরদিনই কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গভবনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীপ্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাকে।

কারামুক্তির সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্টও ফিরে পেয়েছেন খালেদা জিয়া। ৬ আগস্টই তার পাসপোর্ট নবায়নের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করা হয় ছয় মাসের জন্য। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।