রংপুরে শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রংপুরে শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ছবি

রংপুরে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় জেলা পুলিশ সদস্যসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী নাজমিম ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে এ মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে পূর্বের মামলার সঙ্গে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম রকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, আরিফুজ্জামান আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান, আবু আশরাফ সিদ্দিক, নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান ও আব্দুর রশিদ প্রমাণিক।

এছাড়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, শাহাজাদা আরমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা নবী উল্লাহ পান্না, যুবলীগ কর্মী ডিজেল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট মেরাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তার মা আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ২১ জনের নাম উল্লেখ করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।