শাপলা খাওয়ার উপকারিতা

শাপলা খাওয়ার উপকারিতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

জাতীয় ফুল শাপলা শহরের অনেকেই খেতে চান না। শাপলা লবণ-মরিচ-তেঁতুল দিয়ে মাখিয়ে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। আর এসময় শাপলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেননা এতে রয়েছে পানি ও প্রচুর খাদ্যআঁশ। আরও আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পর্যাপ্ত ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদিও পাওয়া যায় শাপলায়।

এসময় শাপলা খাওয়ার যত উপকারিতা 

• শাপলায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়। পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যাদের হজমজনিত নানাবিধ সমস্যা আছে তারা শাপলা খেতে পারেন। 

• শাপলায় রয়েছে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

• শাপলা থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের কোষ গঠন, ক্ষয়পূরণের জন্য প্রয়োজন। 

• যাদের ক্যালসিয়ামের অভাব আছে তারা শাপলা খেতে পারেন। কেননা শাপলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করে। 

• যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে যকৃতকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে শাপলা।

• শাপলায় থাকা পর্যাপ্ত পানি ত্বকের কোষ গুলোকে সতেজ ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। তাই যারা মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান, তারা এসময় শাপলা খেতে পারেন। এমনকি চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখে শাপলা।

• রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে শাপলা। এতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো ইনসুলিনের স্তর স্থিতিশীল রাখে। এমনকি শাপলায় থাকা ভিটামিন বি১ শরীরের শর্করাকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। 

• শাপলায় প্রয়োজনীয় বায়োটিনও পাওয়া যায়। বায়োটিন পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি শরীরের বিপাক ও কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। 

• শাপলায় থাকা ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইট মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

• স্নায়ু, পেশী, হার্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জাতীয় ফুল শাপলা।

• শাপলায় থাকা গ্যালিক অ্যাসিড ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।