ইহরামের সময় নারীদের পর্দার বিধান

ইহরামের সময় নারীদের পর্দার বিধান

ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রশ্ন: আমরা কয়েকজন আল্লাহর ঘরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। আমরা একটি পত্রিকায় পড়েছি যে, ইহরামের সময় নারীদের চেহারায় কাপড় না লাগে এমন হ্যাট জাতীয় উঁচু কিছু ব্যবহার করে তার উপর নেকাব ঝুলিয়ে পর্দা করা ওয়াজিব। 

এখন আমাদের প্রশ্ন হল, কারো যদি এভাবে চেহারার পর্দা করা কষ্টকর হয় এবং এজন্য চেহারা খোলা রাখতে বাধ্য হন তবে কি তিনি গুনাহগার হবেন? ইহরাম ধারণ কালীন সময়ের জন্য কি তিনি শরীয়তের দৃষ্টিতে এতটুকু ছাড় পাবেন?

উত্তর: ইহরাম অবস্থাতেও নারীদের চেহারার পর্দা করার বিধান আছে- এসময়ে চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ। কিন্তু ঢাকা নিষেধ নয়। 

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বার্ণিত আছে, তিনি বলেন- ইহরাম অবস্থায় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের পাশ দিয়ে যেত তখন আমরা আমাদের চাদর মাথায় সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। আর চলে যাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ১৮৩৩)

এ হাদিস থেকেই ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকার হুকুম ও গুরুত্ব বুঝা যায়।

মনে রাখা দরকার যে, হজ-ওমরার কাজগুলো সাধারণত পুরুষ-নারী সম্মিলিতভাবেই আদায় করা হয়। তাই এক্ষেত্রে নারীদের দায়িত্ব যথাসম্ভব পর্দায় থাকা এবং পুরুষদের দায়িত্ব নিজ নিজ চোখের হেফাজত করা। 

সুতরাং ক্যাপ বা হ্যাট জাতীয় কিছু মাথায় লাগিয়ে চেহারা ঢেকে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য রাস্তায় চলাচলের সময় অথবা বেশি ভিড়ের মধ্যে প্রয়োজনে চেহারা খোলারও অবকাশ আছে। 

আর কারো জন্য যদি কোনো কারণে ক্যাপ ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে তার জন্য ছাড় গ্রহণের অবকাশ থাকবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য সতর্কতামূলক এজন্য ইস্তিগফার করতে থাকবে।

সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৪৫৩৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৯৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮৬; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী পৃ.১১৫