নবী (সা.) বলেছেন, যে লোক দুনিয়াতে কোনো বিশ্বাসীর দুঃখ দূর করে দেয়, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করে দেবেন।
আল্লাহ
মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ। এই সীমাবদ্ধ জ্ঞান সব বিষয়ে মানুষকে নির্ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত করতে পারে না। তা মানুষকে যেমন সঠিক পথে পরিচালিত করে আবার ভুল পথেও পরিচালিত করে।
কোনো মানুষ যদি সত্য উদঘাটনে সন্দেহে পতিত হয়, অতঃপর প্রবৃত্তির অনুসরণ বাদ দিয়ে আল্লাহর কাছে নিজ সত্যতার পরিচয় দিয়ে তা অনুসন্ধান করে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে এবং সত্য খুঁজে পায়।
হযরত মুসা ও তার ভাই হারুন (আ.) যখন মিশরের রাজা ফেরাউনের কাছে এক আল্লাহর দাওয়াত নিয়ে যান, ফেরাউন জিজ্ঞেস করে, ‘হে মুসা, তোমাদের রব কে?’
ওয়ারিশরা ঋণ আদায় করা বা ঋণদাতা ক্ষমা করা ছাড়া মৃত ব্যক্তি কখনো দায়মুক্ত হবে না। মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে ঋণ আদায় করার পর ওয়ারিশরা অবশিষ্ট সম্পত্তির মালিক হবে।
কোরআন মজিদে মুমিনের যেসব বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে তার মধ্যে তাকওয়া অন্যতম। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য অর্জন ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন কখনো সফলতা লাভ করতে পারে না।
ভালোবাসার সম্পর্ক মানুষকে প্রিয়তমার অভিমুখী করে রাখে। সে যে কাজেই মগ্ন থাকুক না কেন তার মন পড়ে থাকে প্রিয়তমার কাছে। মুমিন আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। তাই আল্লাহ সব সময় তাঁর স্মরণে থাকেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে।
তিনি বর্ণনা করেছেন যে নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব দুর্ভোগ দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দুর্ভোগগুলোর কোনো একটি দূর করে দেবেন। আর যে কোনো ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তির (দায়) সহজ করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার (দায়) সহজ করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইকে সহযোগিতা করতে থাকে, আল্লাহও তার সাহায্য করতে থাকেন।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু যথাযথভাবে নামাজ না পড়লে নামাজ কবুল হয় না। আবার আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্য থাকলেও নামাজ কবুল হয় না।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ বারবার গুনাহ করে ফেলে, গুনাহের পথ থেকে সরে আসার জন্য তাওবা করে, আবারও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। গুনাহ হয়ে গেলে স্বভাবতই মুমিনরা অনুতাপে ভোগেন, পরবর্তী করণীয় ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান।