মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমের বিভিন্ন স্থানে নিজেকে ধৈর্যশীল ও পরম সহিষ্ণু হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং তার ঈমানদার বান্দাদেরকেও ধৈর্যশীল হতে বলেছেন; যাতে তারা সফলকাম হতে পারে।
আল্লাহ
মানবজীবন দুটি অবস্থার সমষ্টি। একটি হলো সুখ-শান্তি এবং অন্যটি হলো কষ্ট-অস্বস্তি। সুখের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন এবং দুঃখের সময় ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া মুমিনের দায়িত্ব।
এক. এমন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মুমিন বান্দার ওপর শয়তান কখনো আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না। কোরআনে কারিমের ভাষায়, ‘তার আধিপত্য চলে না তাদের ওপর, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন পালনকর্তার ওপর ভরসা রাখে।’ -সুরা নাহল : ৯৯
আল্লাহ ইমানদারদের জান্নাতে ঠাঁই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এজন্য আল্লাহ-প্রদত্ত জীবনবিধান ইসলামে অটল থাকতে হবে। সব নবী ও রসুল আল্লাহ-প্রদত্ত দীনের কথা প্রচার করেছেন।
বিশ্বনবি মুহাম্মাদের (সা.) জন্ম ও নবুয়তলাভ ছিল মানবজাতির প্রতি, বিশ্বজগতের প্রতি আল্লাহর বড় নেয়ামত ও করুণা। কোরআনে আল্লাহ বলেন,
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে ছায়া দান করবেন।.......
আল্লাহ রব্বুল আলামিন বান্দার প্রার্থনা বা মোনাজাত শোনা এবং কবুল করা পছন্দ করেন।
কিছু কাজ এমন আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায়। আবার কিছু কাজ বা স্বভাব এমনও আছে, যেগুলো আল্লাহর ক্রোধকে বাড়িয়ে দেয়।
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়াশীল ও অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা ও দয়া করতে ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ নিজেকে দয়ালু ও অনুগ্রহশীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।