জাওয়াদ তাহের: পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহ তাআলার নির্দেশে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সব কিছুর স্রষ্টা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যিনি আসমান ও জমিনের সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি; সার্বভৌমত্বে তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তা নির্ধারণ করেছেন যথাযথ অনুপাতে।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ২)
আল্লাহ বান্দার তাকওয়াকে গুরুত্ব দেন। মুমিন সৎ বান্দা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। ইসলাম মুমিনদের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থাকার এবং সৎ জীবনযাপনের তাগিদ দিয়েছে। সৎ জীবনযাপনের কারণেই কেউ দুনিয়ার জীবনে গরিবি অবস্থার শিকার হলে তার জন্য পরকালের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাঁর সব বান্দাকে ভালোবাসেন। বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া অবারিত। কিন্তু কোনো কোনো বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া ও ভালোবাসা একটু বেশি। একনিষ্ঠ আমল, বেশি বেশি নফল ইবাদত ও নৈকট্য অর্জনের নানা প্রচেষ্টা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠার মাধ্যম।
ঈমানের অন্যতম শর্ত হলো, পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা। মহান আল্লাহ মৃত্যুর পর আমাদের আবার পুনরুত্থিত করবেন।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি কাজ দ্রুত সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছেন তার একটি হচ্ছে নামাজ। নামাজ আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় ইবাদত। তাই যে ব্যক্তি সঠিক-সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করে সে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় বান্দা।
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ নামাজ। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য গ্রহণ করা সম্ভব। এই ইবাদত আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার অনন্য একটি মাধ্যম। আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন।
বিভিন্ন কারণে মানুষ অসুস্থ হতেই পারে। আমাদের আত্মীয়স্বজন এবং পাড়াপ্রতিবেশী অসুস্থ হলে তাদের জন্য আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, তার সেবা শুশ্রুষা করা এবং তার জন্য উপযুক্ত খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়া ও তার খোঁজ খবর নেয়া ইসলামি শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।
যেখানে ভয় ও আনুগত্য আছে সেখানে ভালোবাসা থাকতে পারে আবার না-ও থাকতে পারে, কিন্তু যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানে অবশ্যই ভয় ও আনুগত্য থাকবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে ওইসব লোক, যারা ঈমান এনেছ!
আরবি তাকওয়া শব্দ থেকে মুত্তাকি শব্দের উৎপত্তি। তাকওয়া শব্দের বাংলা অর্থ আল্লাহভীতি। মুত্তাকি হলো যাদের অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভয় আছে এবং যারা আল্লাহ তাআলার ভয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় মুত্তাকিদের গুণাবলির কথা বলা হয়েছে।
গুনাহ প্রধানত দুই প্রকার। কবিরা ও সগিরা। কবিরা গুনাহর মধ্যে এমন কিছু গুনাহ আছে, যা করলে মানুষের ওপর অভিশাপ নেমে আসে। অভিশাপকে আরবিতে বলা হয় ‘লানত’।
