ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এখন ইসরায়েল পাল্টা হামলা করবে নাকি অন্য কোনো পথে হাঁটবে তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ।
ইরানে
ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রগুলো,
ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা।
অতিসম্প্রতি ইসরায়েলে যে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী, সেই হামলা ছিল ‘সংক্ষিপ্ত’ এবং এতে শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের সরাসরি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার ছিল ইরানের।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকার ইরানের ড্রোন হামলার খবরে দ্রুত সাড়া দিচ্ছে। জর্ডান, লেবানন ও ইরাক, ড্রোনের উড্ডয়ন পথে অবস্থিত দেশ তিনটি তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইরান।
ইরানের একটি আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলি একটি জাহাজ জব্দ করেছে। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এবারের ঈদুল ফিতরের ভাষণের রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ‘অপরাধের’ জন্য ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।