চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে শুক্রবার বৈঠক হয়েছে মাক্রোঁর। সেখানে তাইওয়ান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডায়ের লাইয়েন।
তাইওয়ান
তাইওয়ানের ভূখণ্ডে এবং তার আশেপাশের জলসীমায় গুরুত্বপূর্ণ সব টার্গেটে নিখুঁত হামলার মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিং তিনদিন ধরে যে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে আজ রবিবার তার দ্বিতীয় দিন।
তাইওয়ানকে ঘিরে ৭১টি যুদ্ধবিমান আর ৯টি রণতরীর মহড়া চালিয়েছে চীন। শনিবার তিন দিনের মহড়ার প্রথম দিনেই অন্তত ৪৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ জোনে প্রবেশ করেছে বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
তাইওয়ান এক বিপদজনক ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে আটকে পড়েছে।গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে নিউ ইয়র্কে স্বাগত জানানো হয়। এখন তিনি ক্যালিফোর্নিয়াতে যাচ্ছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন।
চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমেরিকান দেশ হন্ডুরাস। শনিবার হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় জানায়, হন্ডুরাস সরকার বিশ্বে মাত্র এক চীনের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে বৃহস্পতিবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে রাজধানী তাইপে কেঁপে উঠে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ। এরপর আরো কয়েক দফা মৃদু ভূমিকম্প অনুভূতহয়। তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো এ কথা জানিয়েছে।
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। তাইপে বলেছে, তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রেকর্ড ১৮টি পারমাণবিক সক্ষমতার বোমারু বিমানসহ মোট ২১টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চীন।
চীন-তাইওয়ান যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই চীন থেকে ৩৬টি যুদ্ধ বিমান পৌঁছাল তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকায়। এর মধ্যে ১০টি বিমান মধ্যরেখাও অতিক্রম করে গেছে বলে তাইওয়ান প্রশাসন সূত্রে খবর।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন সোমবার বলেছেন, তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যকার যুদ্ধ ‘একেবারেই কোনো অপশন নয়’। তিনি বেইজিং-এর সাথে আলোচনার জন্য পুনরায় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ দ্বীপের প্রতিরক্ষা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সেই উত্তেজনা আরো বেড়েছে।