উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার উব্দাখালী, মহাদেও, বৈঠাখালী ও মঙ্গলেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঈদের একদিন আগে থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুদিন এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নেমে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এরইমধ্যে হাওরগুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। আশংকা বাড়ছে এমন বৃষ্টি আরো দিন দুয়েক চলতে থাকলে ডুবে যাবে নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা।
ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি। প্লাবিত ১৯টি জেলা। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ প্রভাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি। উজানের ঢলে উত্তরের বেশ কয়েকটি নদীর পানি গত কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকটা বেড়েছে। নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর সবকটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সুরমার এক পয়েন্টে কিছুটা কমেছে। দুপুরের পর ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাথে ৭ ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হওয়া মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুই শিশু সন্তান।
টানা বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগামী কয়েকদিন বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। দেশের অন্তত ৭৫টি পয়েন্টে পানি বাড়তে শুরু করেছে।