কলম্বিয়ায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে মঙ্গলবার কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা একথা জানায়
ভূমিধস
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির কারনে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৯জন প্রাণ হারিয়েছে।এদের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। এছাড়া প্রায় পাঁচ’শ লোক বাস্তুুচ্যুত হয়েছে।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝু প্রদেশের বিজি নগরীতে একটি নির্মাণস্থলে সোমবার ভূমিধসের ঘটনায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একথা জানায়।
কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে মঙ্গলবার একটি হোটেল মাটির নিচে চাপা পড়ায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র একথা জানায়।
নেপালের বিভিন্ন অংশে টানা কয়েক দিনের বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু অন্তত ১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শুক্রবার হতাহতদের সন্ধান করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কারণ, বেঁচে থাকা লোকেরা অভিযোগ করছে যে, তারা এখনো কোনো সরকারি সাহায্য পাননি।
ভারত ও নেপালে কয়েক দিনের ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ১শ’র বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেক নিখোঁজ রয়েছে। কর্মকর্তারা বুধবার এ কথা জানান।
ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। করোনার দাপটের মাঝেই দোসর প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধস। যার ফলে শনিবার পর্যন্ত সরকারী হিসাব মতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১১২। তবে বেসরকারী হিসেবে মৃত্যু প্রায় ১৪০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৯৯ জন। কমপক্ষে ৫৫জন গুরুতর আহত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জায়গায় জায়গায় ধস। তাতে একসঙ্গে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভারতের মুম্বই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়গড় জেলার কোঙ্কণে। বৃহস্পতিবার সেখানকার বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। তাতে এক জায়গা থেকে ৩২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্য একটি জায়গা থেকে আরও চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জাপানে ভারী বৃষ্টির পর এক বিরাট ভূমিধসে আতামি শহরে অন্তত বিশ জন মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পাহাড়ের ওপর থেকে প্রচন্ড বেগে নেমে আসা কালো কাদা মাটির ঢল নেমে সমুদ্রের দিকে বয়ে চলেছে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নদীর তীরবর্তী কয়েক শ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।