যুদ্ধের ঘনঘটার মধ্যে সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে তা অনুমান করা সত্যিই কঠিন। যুদ্ধক্ষেত্রের নানা খবর, কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ, হতাহতদের স্বজনদের বিলাপ আর বাস্তচ্যুতদের দুর্ভোগ-এগুলোর মধ্যে মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেও বিশ্লেষকরা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন যে আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনের এই সংঘাত ঠিক কোন দিকে যেতে পারে।
রাশিয়া
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর থেকে রাশিয়ায় স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর নানা ধরনের চাপ আসছে।এরই মধ্যে বিবিসির রুশ ভাষা বিভাগের ওয়েবসাইট রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।পাশাপাশি ডয়েচে ভেলে, রেডিও লিবার্টি এবং মেডুজা মিডিয়া আউটলেটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকেও রাশিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন হুঁশিয়ার করেছেন এই বলে যে যারা ইউক্রেনে রুশ অভিযানের বিরোধিতা করছে, তারা যেন তার দেশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটায়। এক সরকারি সভায় ভাষণ দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রকে ‘বিশেষ’ সতর্কতায় রাখার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ওই নির্দেশের মধ্য দিয়ে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন ইঙ্গিত দেয়ার বদলে তিনি হয়ত আসলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে এক ধরনের বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন যে, তারা যেন ইউক্রেন ইস্যুতে বেশি তৎপরতা না দেখায়।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহরের বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার সময় রাশিয়ার সৈন্যরা কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।
মানবাধিকার সংগঠন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ভ্যাকুয়াম বা থারমোব্যারিক বোমা ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খারসন শহর রাশিয়া দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।দখলে নেয়ার পরে ওই শহরের মেয়র- সরকার ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়া বোমা হামলা চালানোর পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্বের যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বা আমদানি-রপ্তানি বেশি হয়, টাকার অংকে সেই তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে নেই রাশিয়া বা ইউক্রেন। কিন্তু দুইটি দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য রয়েছে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির আবদুজালিল আব্দুরাসুলভ বলছেন, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, তাদের প্রতিনিধিদল রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।