তীব্র গরমে ছোট-বড় সবাই অতিষ্ঠ। এই গরমে সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিজ্ঞানী হেনা নাফিসের পরামর্শ- এসময় অনেকেরই হতে পারে হিটস্ট্রোক।
স্ট্রোক
চলতি সময়ে তাপদাহে জ্বলছে পুরো দেশ। আশঙ্কার বিষয় হলো, গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও রয়েছে এই ঝুঁকিতে। সেইসাথে রয়েছে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এ সময় বাড়বে ডায়রিয়া ও ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ।
শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে উপকারী কফি। কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কালো কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়।
স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ এ রোগের আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান অর্ধ কোটি মানুষ আর অর্ধ কোটি পঙ্গুত্ব বরণ করেন। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের মত দেশে ঘটে। দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ঢাকা শহরে রাস্তায় নামলে মাঝে মাঝে মনে হয় গাড়ি চালকেরা যেন হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কোনো কিছু সামনে পড়ে গেলেই কানফাটা শব্দে বেজে উঠছে হর্ন। এক সেকেন্ডও যেন অপেক্ষা করতে রাজি নন চালকেরা।
দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গরমে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিটস্ট্রোক হয়। এ অবস্থায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ চলমান তাপপ্রবাহে প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে কোথাও অতিরিক্ত জনসমাগম হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে।গরমের দিনে মারাত্মক সমস্যার একটির নাম হিটস্ট্রোক। এর প্রধান কারণ পানিশূন্যতা।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকা যেসব ব্যক্তি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল গ্রহণ করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
‘ডায়েট’ সোডা বা কোমল পানীয় দিনে একবার পান করলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।চলতি সময়ে পণ্য প্রচারের অংশ হিসেবে কৃত্রিম চিনি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বলা হলেও ব্যাপারটা উল্টো।
আনিছুর রহমান:- ব্রেইনের রক্ত সরবরাহ কোন কারণে বিঘ্নিত হলে রক্তের অভাবে ব্রেইনের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিংবা মারা যায়, এটাই হলো ব্রেইন স্ট্রোক। বিশেষ করে রক্তনালী ব্লক হয়ে গেলে কিংবা রক্তনালী ছিড়ে গেলে ব্রেইনের রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে ব্রেইন টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিংবা মারা যায়।