একই কেন্দ্রে ও একই কক্ষে পরীক্ষা দিলেন মা-মেয়ে

একই কেন্দ্রে ও একই কক্ষে পরীক্ষা দিলেন মা-মেয়ে

সংগৃহীত

অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় হয় বিয়ে শেফালী আক্তারের। এরপর সংসারেই কেটেছে ২২ বছর। সংসার জীবন শুরু হলেও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহের কমতি ছিল না তার। হঠাৎ ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব পুরোটাই চলে আসে তার ওপর.।

মেয়েকে স্কুলে আনা-নেয়া করতে করতে সিদ্ধান্ত নেন লেখাপড়া করার। এরপর ২০২৩ সালে মেয়ের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। এবার এসএসসি ভোকেশনাল নবম শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় মেয়ের সঙ্গে অংশ নেন তিনি। একই কেন্দ্রে ও একই কক্ষে মেয়ের পেছনের বেঞ্চে বসে পরীক্ষাও দেন শেফালী। বুধবার বিষয়টি জানিয়েছেন শেফালী আক্তার।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ভুয়াইদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড বিএম কলেজের ছাত্রী শেফালী আক্তার ও তার মেয়ে সাবরিনা। একই প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সখীপুরের সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। শেফালী সখীপুর উপজেলার বড়চওনা বিন্নাখাইরা গ্রামের মৃত আবদুস সবুর মিয়ার স্ত্রী।

শেফালী আক্তার বলেন, প্রবল আগ্রহ থেকেই আবার পড়াশোনা শুরু করলাম। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আমার বিয়ে হয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়েকে বিদ্যালয়ে আমাকেই নিয়ে যেতে হতো। পরে একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়ের সঙ্গে আমিও লেখাপড়া পুনরায় শুরু করব। নবম শ্রেণিতে মেয়ের সঙ্গে ভর্তি হলাম। এবারের এসএসসি ভোকেশনালে একই কেন্দ্রে ও একই কক্ষে মেয়ের পেছনের বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দিচ্ছি।

ভুয়াইদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান বলেন, ইচ্ছা থাকলে লেখাপড়ায় বয়স কখনো বাধা হতে পারে না। শেফালী আক্তার তেমনই এক উদাহরণ। এ উদ্যোগ অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা মা-মেয়ের সাফল্য কামনা করছি।