চার ঘণ্টার মধ্যে যেভাবে মুক্তি পেলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

চার ঘণ্টার মধ্যে যেভাবে মুক্তি পেলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

সংগৃহীত ছবি

গ্রেপ্তারের চার ঘণ্টার মধ্যে জিম্মা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. সালেহ উদ্দিনের জিম্মায় জামিন হয় তার।

জিম্মানামায় বলা হয়েছে, ‘আনোয়ার হোসেন মঞ্জু শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ বিধায় তাকে আদালত ও তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ভবিষ্যতে তলব করামাত্র নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির করতে বাধ্য থাকবো। মামলার পরবর্তী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির করবো। অন্যথায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইন আমলে আসবো।’

এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় কারওয়ান বাজারে দৈনিক ইত্তেফাক কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিবিতে তাকে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেছিলেন, ‘ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে।’

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী। এর পূর্বে তিনি আরও দুবার দুটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি পিরোজপুর জেলার কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও জিয়ানগর উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-২ আসন থেকে ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন মঞ্জু। তার বাবা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা।