উত্তর কোরিয়ায় পালানো মার্কিন সেনার কারাদণ্ড

উত্তর কোরিয়ায় পালানো মার্কিন সেনার কারাদণ্ড

ছবিঃ সংগৃহীত।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পালিয়ে উত্তর কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিংকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং সামরিক বাহিনী থেকে অসম্মানজনকভাবে অপসারণ করা হয়েছে। পরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হয়। টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) শুনানিতে উপস্থিত হয়ে কিং জানান, ‘আমি মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে পালাতে চেয়েছিলাম এবং কখনোই ফিরে আসতে চাইনি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শুনানিতে কিং অসন্তোষের কারণে সেনাবাহিনী থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী থেকে পালানোর চিন্তা তার মাথায় ছিল।

২৪ বছর বয়সী কিং জুলাই ২০২৩-এ মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে পলায়নের অভিযোগসহ অন্যান্য অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে থাকা মোট ১৪টি সামরিক অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে দোষ স্বীকার করেছেন তিনি। তবে, ইতোমধ্যে কারাভোগের সময় এবং ভালো আচরণের জন্য তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

শুনানিতে কিং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কথা স্বীকার করলেও তিনি আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন।

ট্রাভিস কিং দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ট্যুরে অংশ নেওয়ার সময় উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান। দুই কোরিয়ার মধ্যে সামরিক বিভাজন রেখার প্যানমুনজম গ্রামে অবস্থান করছিলেন তিনি। এর আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কারাগারে প্রায় দুই মাস কারাভোগ করেছিলেন। সেখানে তিনি দুজনকে আঘাত করার এবং পুলিশের গাড়িতে লাথি মারার অভিযোগে সাজা পেয়েছিলেন।

এরপর তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাতে তিনি ফোর্ট ব্লিস ঘাঁটিতে ফিরে শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি ভোগ করতে পারেন। কিন্তু প্লেনে ওঠার পরিবর্তে তিনি ট্যুরে যোগ দেন এবং পরে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান।

উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছিল,তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে অমানবিক আচরণ এবং বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন বলে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দুই মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে টেক্সাসে ফিরিয়ে আনা হয় এবং তারপর থেকে তিনি সেখানে বন্দী ছিলেন।