জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ এবং অন্যান্য নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ক্রাইমিয়াসহ ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত এলাকায় সীমিত।
- সার্ক কারেন্সি ‘সোয়াপ’ চালু করলো ভারত
- * * * *
- মঙ্গলবার সভা ডেকেছে বিসিবি
- * * * *
- ফাইনালের টিকিট পেয়ে যা বললেন রোহিত
- * * * *
- ১৪ দেশে শুরু হলো ‘তুফান’
- * * * *
- সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের ৮৪তম জন্মদিন আজ
- * * * *
ইউক্রেনে
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে রুশ সেনারা।রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত মানচিত্র থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়া বলেছে, দেশটির সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহর ছেড়ে চলে এসেছে। এর কারণ হিসেবে মস্কো বলেছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার সেনারা ওই শহর ছেড়ে দিয়ে সুবিধাজনক ফ্রন্টের দিকে চলে গেছে।
সামরিক অভিযান শুরুর সাত মাসেরও বেশি সময় পর ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছে তার প্রশাসন।
ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করেছে, সেগুলোতে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করে রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব এলাকার লোকজন রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে বিপুলভাবে ভোট দিয়েছে। তবে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা এই 'গণভোটকে' অবৈধ ও ভুতুরে হিসেবে অভিহিত করেছে।
ভয়াবহ বৈরিতার মধ্যেও রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রায় ৩০০ বন্দী বিনিময় করেছে। এটিকে একটি অবাক করা পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সাত মাস আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল। আর তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্ততায় এই বন্দী বিনিময় ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পর রুশ সেনাবাহিনীর দক্ষতার সমালোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেন বাহিনীর পাল্টা হামলার মুখে রুশ বাহিনী পিছু হটার এক দিন পর এই দুর্ভোগে পড়েছে অঞ্চলটি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই অঞ্চলের বেসামরিক অবকাঠামোগুলোকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করেছেন।
মস্কো উত্তর ইউক্রেনে তার প্রধান অবস্থান পরিত্যাগ করেছে। ইউক্রেনের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে থাকায় যুদ্ধের অন্যতম একটি ফ্রন্ট লাইন হঠাৎ ভেঙে পড়ার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া সেখান থেকে সরে গেছে।
রুশ সেনার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে প্রায় ২৩০ কোটি পাউন্ড বা ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করেছে ব্রিটেন। কিন্তু এখন অর্থসঙ্কটের কারণে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সাহায্যে বন্ধ করতে পারে ব্রিটেন।