একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে শুক্রবার ইউক্রেনে গোলা বর্ষণ করেছে রাশিয়া। ক্ষেপনাস্ত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত করে, আর এর ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
ইউক্রে
ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও ‘আগামী সপ্তাহে’ পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুলে ম্যাক্রোঁ বলেছেন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যতদিন লাগবে ততদিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সমর্থন করবে। খবর এএফপি’র।
ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ কয়েক দিনের মধ্যে এক বছরে পা দেবে। কিন্তু সেই ‘যুদ্ধ’ থামার কোনো নাম নেই। তার মধ্যেই বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। দাবি করলেন, রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব আরো বড় যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে।
রুশ বাহিনীর মোকাবেলায় মিত্ররা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানও দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্চাত্যের নেতারা শিগগিরই যুদ্ধবিমান না দেয়ার কথা বললেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ রোববার সংবাদ সম্মেলনে ভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন ফের বন্দী বিনিময়ে করেছে। শনিবার যুদ্ধরত দুই দেশ প্রায় দুই শতাধিক সেনা বন্দী বিনিময় করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বৃহস্পতিবার কিয়েভ পৌঁছেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের এক দিন আগে কমিশনারদের একটি দল নিয়ে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে পৌঁছেছেন।
ইউক্রেনে পশ্চিমাদের দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ রুশ বাহিনীকে বাধা দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, এটি মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার সঙ্ঘাতকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর বদলে আবরামস ট্যাঙ্কসহ অন্যান্য ধরনের সহায়তা বাড়াবে দেশটি। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কোঅর্ডিনেটর ফর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্স জন কিরবি এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধবিমান দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন শীর্ষস্থানীয় সহযোগী শনিবার বলেছেন, ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা আক্রান্ত দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক বিমান দিয়ে সজ্জিত করার সম্ভাবনা নিয়ে অতি ‘ক্ষিপ্র গতিতে’ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।