বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ থাকে। শীতেও রান্নাঘরের ছায়াযুক্ত স্থানে তা থাকতে পারে। তখন লবণ ও চিনিতে কেন যেন পানি জমেছে মনে হয়। এই সমস্যার কারণে অনেক সময় লবণ বা চিনি ফেলে দিতে হয়। স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টি বিবেচনাধীন তো থাকেই।
চিনি
চিনি বা মিষ্টি কে না পছন্দ করে? কিন্তু জানেন কি, এই চিনি বিষ হয়ে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। আর আজ আমরা জানবো চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই-
বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য ও ফিজি ড্রিঙ্কের মতো কোমল পানীয়তে অ্যাসপার্টেম নামের যে সুইটেনার বা কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয় তা অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে এই রাসায়নিক পদার্থ মানুষের দেহে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন।
নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শেরপুরে বালুর স্তূপের নিচ থেকে ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ৫০ কেজি ওজনের ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। এসব বস্তায় মোট ২ হাজার ৬০০ কেজি চিনি আছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবরকমের চিনির দাম বেড়ে চলেছে। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও বাজার থেকে অনেকটাই উধাও হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি।সরকার নির্ধারিত দামে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হয়।
কোরবানির ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ানোর কথা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মিল মালিকরা। চিঠিতে ২২ জুন থেকে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি এবং দুই লাখ ২০ মেট্রিক টন সার আমদানি করবে।
ছয় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এত দিন সংস্থাটি প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা বিক্রি করতো। এবার টিসিবির পরিবার কার্ডধারীদের চিনি কিনতে হবে ৭০ টাকা কেজিতে।
খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।