‘দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি। এমনিই চিনির দাম বাড়ায় গত কয়েকমাসে চিনি ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছি,’ কিছুটা ক্ষোভের সাথেই আমাকে বললেন ঢাকার মহাখালীতে সপ্তাহের বাজার করতে আসা শাহিদা আক্তার।
চিনি
সরবরাহ স্বল্পতার কারণে বুধবার ঢাকার বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য তুরস্ক থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।প্রতিকেজি চিনির দাম ধরা হয়েছে ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা।
ঢাকার বাজারে ১০ দিনের ব্যবধানে খোলা চিনির দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বাজারে খোলা চিনির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাজারে চাহিদা বাড়ায় চিনির দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’-জেপিবিপিসির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
সরকার চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা হ্রাস করেছে। নির্ধারিত নতুন মূল্যে পরিশোধিত খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকা।
গাইবান্ধার সদর উপজেলায় চিনি বোঝাই ট্রাকের চাকা ফেটে উল্টে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে এক ড্রাইভার নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
দাম কমাতে সকল প্রকার চিনি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ রোববার এক প্রজ্ঞাপনে এনবিআর জানিয়েছে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বাজারে আরেক দফা বাড়ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনির দাম। নতুন করে এ দফায় প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা করে দাম বাড়বে। যা কার্যকর হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ।
বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সাথে গরিবের আমিষ বলে খ্যাত ডাল এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। প্রতি কেজি মোটা দানার মসুর ডাল এখন ১১০ টাকায় উঠে গেছে। মাঝারি দানা ১২০ টাকা এবং ছোট দানার মসুর ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।