গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিনে চুক্তির অংশ হিসেবে আরো ১২ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফের বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
চলমান যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে গত সোমবার তিন বছর বয়সী যমজ শিশুসহ আরও ১১ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দী।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আজ শনিবার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে যাদের মুক্তি দেবে, তাদের একটি তালিকা ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইল ওই তালিকা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ১২ থাই ও ১৩ ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কেবল যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশ যুদ্ধবিরতি চাইছে বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক। বুধবার এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় কার্যকর হবে।
ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে চার দিনের মানবিক বিরতিতে সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তাস’কে এ কথা বলেছেন।
অবশেষে চার দিনের যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। বন্দি বিনিময়ের শর্তে এই যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী ইহুদি অধ্যুষিত ইসরায়েলকে মানতে হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বেশকিছু শর্ত।
রেডক্রস সোমবার বলেছে, ইসরায়েল ও গাজায় সশস্ত্র সংঘাত সম্পর্কিত মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধান এগিয়ে নিতে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর সাথে সাক্ষাৎ করতে কাতারে গেছেন।
