বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ দিনে এক হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে ৫০৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। দূর্গাপূজা উপলক্ষে এই ইলিশ রপ্তানি করছে সরকার।
ইলিশ
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নতুন করে প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশে সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যাবে।
চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জনিয়েছে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়।
পূজা উপলক্ষে ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে দ্বিতীয় চালানে ৬৩ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হচ্ছে।
ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদিত হচ্ছে এই দেশে। মাত্র চার বছর আগেও এই উৎপাদনের হার ছিল ৬৫ শতাংশ।
প্রতিটি ট্রলারে ৮০০ গ্রাম থেকে পৌনে দুই কেজি ওজনের প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও স্থানীয় বাজারে বড় সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। সাগরে ঝড়-বাদল যদি না থাকে তাহলে এ বছর ইলিশের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, ইলিশ আহরণকারী বিশ্বের ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে।
পুরো পশ্চিমবঙ্গ শারদ উৎসবে মাতোয়ারা। তবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মৎস্যজীবীপল্লিতে এবার পৌঁছায়নি সেই আনন্দ। এ মৌসুমে সমুদ্রে মেলেনি ইলিশ। মাছ নেই, অর্থও নেই।
বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠের ইলিশ উৎসবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ হাজার ৯২০ মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে।