সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি টোয়েন্টি বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৪ রান।
জিম্বাবুয়ে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাই হারারের স্পোর্টস ক্লাবের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি রূপ নিয়েছে ‘ফাইনালে’। সিরিজ নির্ধারণী সেই ফাইনাল ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এবারের জিম্বাবুয়ে সফর ছিল সাফল্যে ভরা। একমাত্র টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি ২০তেও বড় জয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১ বল বাকি থাকতেই ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে। এই ম্যাচ সিরিজের ১-১ সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে। রবিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম টি-টোয়েন্টির চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ শক্ত অবস্থানে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৬৭ রান।
হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তারা প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হচ্ছে ২০ বছর বয়সী তরুণ অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারির।
স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছেন তামিম ইকবাল। আর ১১ ম্যাচ পর এটি তার সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া।
হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে করেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান। সিরিজের ব্যবধান ৩-০ করতে বাংলাদেশের দরকার ২৯৯ রান।
সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পাশাপাশি তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেনের মনোমুগ্ধকর ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহই করেছে বাংলাদেশ।