টিকা কার্যক্রম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা রিপোর্টকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করা হয়েছে।
টিকা
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের খরচের ক্ষেত্রে সরকারি হিসাব এবং বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি’র হিসাবের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ফারাক দেখা যাচ্ছে।
দেশে ১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছেন। সেই হিসেবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা সম্পন্ন করেছেন। এই সংখ্যা টিকা প্রয়োগে টার্গেট করা জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোজা রেখে করোনাসহ যেকোনো ধরনের রোগের টিকা নিতে বাধা নেই। বিশ্বের জুমহুর তথা অধিকাংশ আলেম ও ইসলামী স্কলার ‘রোজা অবস্থায় টিকা নিতে সমস্যা নেই’ এই কথার ওপর একমত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি আসন্ন রমজান মাসেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদানে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সারাদেশে ২২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সাড়ে ১২ কোটি প্রথম ডোজ এবং সাড়ে ৮ কোটি দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের মানুষকে টিকা দিতে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যে কোনো টিকার পূর্ণ ডোজ (সিঙ্গেল ডোজ বা বা ডাবল ডোজ) যারা নিয়েছেন, তাদের বাংলাদেশ আসতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে না। তবে যাত্রীদের টিকাগ্রহণের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেবে না লিথুয়ানিয়া। সোমবার দেশটির ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন (এলআরটি) এ তথ্য জানিয়েছে।
‘এক দিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান’ কার্যক্রমে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আগামী ২৮ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে।