আমদানি বন্ধের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েই চলেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক মাস আগে বিক্রি হয়েছিলো ৩
পেঁয়াজ
সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।ঈদের পরই নতুন করে কয়েক দফা দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে মসলাজাতীয় পণ্য। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দর। পিছিয়ে নেই আদা, রসুন ও জিরা।
৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ ঈদের পর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
দেশের কৃষকদের কথা চিন্তা করে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (এলসি) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর এই সুযোগে দেশের কৃষকরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজানের শুরুতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে বাজার কেনে তাই কিছুটা বাজার ঊর্ধ্বগতি হয়, তবে তা ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে। দাম কমায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শিথিল করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা মূল্য পায়।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। গত দু’দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কেজিতে তিন থেকে চার টাকা করে বেড়েছে। রমজান মাস শুরু হলে আরো দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা।
নিজ দেশে দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আর এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে ফের পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে দুদিনে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। যদিও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশ শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রপ্তানী করতে সক্ষম হবে।
পাবনা প্রতিনিধি:দাম না পাওয়ায় চাষীদের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পেঁয়াজ। ১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচও ওঠছে না কৃষকদের। তাই পেঁয়াজচাষীদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।