পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় পাবনার সাঁথিয়ার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতোমধ্যে মৌসুমের এই সময় কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। তবে বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
পেঁয়াজ
পাবনার বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমী চারা পেঁয়াজ। তবে উৎপাদন ভালো হলেও পেঁয়াজের দাম না পেয়ে মন ভালো নেই কৃষকদের। তাদের অভিযোগ, বাজারে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তাতে ন্যায্যমূল্য তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই উঠছে না।
একদিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ২ থেকে ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৩ থেকে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। প্রতিদিন দাম কমাতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর করতে নতুন উদ্ভাবন শুরু করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন উন্নত জাতের পেঁয়াজের ফলন বিঘা প্রতি ১০০ মনের উপর উৎপাদন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
পাবনা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট অসময়ে বৃষ্টি জেলার পেঁয়াজ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তা পুষিয়ে ওঠতে পেঁয়াজ চাষীদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার মিরপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উচ্চ ফলনশীল জাত ‘বিপ্লব’ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার মশান এলাকায় এ মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়।
এম মাহফুজ আলম, পাবনা: দেশের মোট চাহিদার এক চতুর্থাংশই পেঁয়াজ পাবনায় উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু আশা-দূরাশায় দিন কাটাচ্ছেন পাবনার পেঁয়াজ চাষিরা।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পাবনা জেলায় টানা ৪৮ ঘন্টা বৃষ্টিতে পাকা আমন ধান, পেঁয়াজ, শব্জি ও কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া, বৃষ্টি ও বাতাসে পাকা আমনধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র বলছে চীন থেকে আনা চাইভের একটি জাত এখন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে এবং তাদের মতে এই চাইভই হয়ে উঠতে পারে পেঁয়াজের বিকল্প।