গত দুই দিনে আমদানি করা ১ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।কৃষি মন্ত্রণালয় সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
পেঁয়াজ
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আট ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আসার অপেক্ষায় আছে আরও ১০ ট্রাক পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। গত রবিবার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ঘোষণার পরের দিন গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকার শ্যামবাজারসহ বড় বড় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময় পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি করা ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে।
পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা আসতেই বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।
বাজারে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কোরবানি ঈদের এক মাস আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতাদের অভিযোগ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দাম বাড়ছে।
আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দাম না কমলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আদা ও পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে থেকে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। নিত্যপণ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর বাজারঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দাম না কমলে ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দাম আমলে না নেয়ায় অসন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি।