ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা-ইলিশ ধরার অপরাধে সাত জেলেকে ১২ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইলিশ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে মা ইলিশ ধরার অপরাধে দুই জেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪৮ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বয়স কম থাকায় ছয় জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে দুটি নৌকাসহ ১২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ ধরার অপরাধে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পাঁচ জেলেকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৮ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলায় তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে বাংলাদেশের জাতীয় এই মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
মা ইলিশ সংলক্ষনে ২২ দিনের ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বরিশালে অভিযান চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ও এর আশপাশের নদীগুলোতে এই অভিযান চালায় বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় নৌ পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজারে বসেছে ইলিশ মেলা। ব্যবসায়ীরা তাদের মজুত করা মাছ বিক্রির জন্য এ মেলার আয়োজন করেছেন।